২। যে ইউনিয়ন পরিষদের নিকট আবেদন করা হবে সে ইউনিয়ন পরিষদের নাম ঠিকানা থাকতে হবে।
৩। আবেদনকারী এবং প্রতিবাদীর নাম,ঠিকানা ও পরিচয় থাকতে হবে।
৪। সাক্ষী থাকলে সাক্ষীর নাম,ঠিকানা ও পরিচয় থাকতে হবে।
৫। ঘটনা,ঘটনা উদ্ভবের কারণ,ঘটনার সথান ও ইউনিয়ননের নাম,সময়,তারিখ থাকতে হবে।
৬। নালিশ বা দাবির ধরন,মূল্যমান থাকতে হবে।
৭। ক্ষতির পরিমাণ,প্রার্থিত প্রতিকার থাকতে হবে।
৮। পক্ষদ্বয়ের সম্পর্ক উল্লেখ থাকতে হবে।
৯। সাক্ষীদের ভূমিকা থাকতে হবে।
১০। মামলা বিলম্বে দায়ের করা হলে তার কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।
১১। আবেদকারীর সাক্ষর থাকতে হবে।
১২। মামলা দায়েরের তারিখ থাকতে হবে। (ধারা ৩)
একটি মামলার আবেদনের নমুনা দেওয়া হলোঃ-
বরাবর,
চেয়ারম্যান
০৩ নং নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
বড়লেখা, মৌলভীবাজার তাং-০২-১০-২০১২ইং
বিষয়ঃ জমি-জমা সক্রান্ত বিষয় অভিযোগ।
বাদীঃ বিবাদীঃ
মোঃ জায়দুল হক তালুকদার মোঃ ওয়াহেদ আলী (বোছা)
পিতা- মৃত- জসিম উদ্দিন তালুকদার পিতা- মুত- নতিবুল্রাহ শেখ
সাং- সয়েকপুর। সাং- সায়েস্তাপুর।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী আপনার আদালতে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি উল্লেখিত বিবাদীর নিকট হইতে নিম্ন তফসিল বন্নিত জমি ১২.৫০ শতক জমি বন্দকী হিসাবে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারে ২০০/-টাকার বিনিময়ে গত ৩১-০৫-১৯৭৮ইং তারিখে কবলা দলিল করিয়াছি। যার দলিল নং ৭১৮৮।
কিছু দিন পর বিবাদীর পূনরায় টাকার প্রয়োজন হওয়ায় উক্ত দাগে তাহার অংশের প্রাপ্ত ১৫ শতক জমি বিক্রয় করার জন্য আমার নিকট প্রস্তাব করেন। আমি তাহার প্রস্তাবে রাজি হইয়া যাই। আলোচনা সাপেক্ষে জমির বিক্রয় মূল্য চুরান্ত হওয়ার পর আমি তাহাকে সাথে লইয়া রেজিঃ অফিসে যাইয়া ওয়াদা অনুযায়ী তাহাকে দলিল মুলে জমি ফেরত প্রদান করিয়াছি। তারিখ-১৩-০৮-১৯৭৯ইং, দলিল নং-৮৮৯৭।
বিবাদী আমার নিকট হইতে জমি ফেরত পাইয়া আবার উক্ত তারিখে ২০০০/-(দুই হাজার)টাকা পোনে ১৫ শতক জমি আমার নামে কবলা দলিল করিয়া দিয়াছেন। তারিখ-১৩-০৮-১৯৭৯ইং, দলিল নং ৮৮৯৮। বিবাদীর নিকট হইতে ক্রয়কৃত জমি ফসল উপযোগী না হওয়ায় সেখানে শষ্য আবাদ না করিয়া আমি সে খানে পর্যায়ক্রমে তিন-তিন বার বৃক্ষ রোপন করিয়াছি। সেখান হইতে পর্যায়ক্রমে দুই-দুই বার বৃক্ষগুলি বিক্রয় করিয়াছি এবং সেখানে বর্তমানে যে বৃক্ষগুলি আছে প্রতিটি বৃক্ষ বিক্রয়ের উপযোগী।
বর্তমানে আমার বিশেষ প্রয়োজনে উক্ত জমি বিক্রয় করার জন্য প্রস্তাব করার পর বাড়ীঘর কারার জন্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম ০৮ শতক জমি ও মিলন মিয়া ০৭ শতক জমি মূল্য নির্ধারণ করিয়া জাইদুল ইসলাম মৌখিক ভাবে জমির বায়নার টাকা আমাকে দিয়াছেন এবং মিলন মিয়া সমুদয় টকা নগদ পরিশোধ করিয়া জমি দলিল করিয়া লইবেন।
বিবাদী আমার জমির ক্রেতাগনকে বিভিন্ন প্রকার প্রবনাচনা দিয়া তাহাদিগকে জমি ক্রয় করিতে বাধা দিয়াছেন। বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমার রোপনকৃত বৃক্ষগুলি কর্তন করার জন্য সে পায়েতারা করিতেছেন। বিবাদী আমাকে জী্বন নাশের হুমকি প্রদান করিয়াছেন। সে আমার নিকট দলিল মুলে জমি বিক্রি করার ৩৩ বছর পর অহেতুক মিথ্যা কথা বলিতেছেন। সে আমাকে হেয়ো কারার জন্য লোক সমাজে মিথ্যা অপ প্রচার করিয়া বেড়াইতেছেন। নিরুপায় হইয়া উল্লেখিত অভিযোগে সু-বিচারের জন্য আপনার আদালতে নালিশ করিলাম।
তফসিল
মৌজা সায়েস্তপুর জে,এল নং-২৪২, তৌজি নং-২৩৩, সাবেক খতিয়ান নং-৭৪, দাগ নং-১০১৬ ডাঙ্গা। ৩১শতকের কাত ১৫ শতক।
বিধায়, প্রর্থনা এই যে, মহোদয় দয়া করিয়া উল্লেখিত অভিযোগের বিষয় আমার জমির কাগজ পত্রাদি দ্বারা প্রর্মাণিত করিয়া সু-বিচার করিতে আপনার মর্জি হয়।
সংযুক্তি
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS